শ্রীশ্রীরামঠাকুরের নির্দেশ মেনে শ্রীশ্রীধামের যাবতীয় ক্রিয়াকর্মের অভিমুখ হল জনকল্যাণমুখী এবং মানুষের হিতসাধন।
জন্মলগ্ন থেকেই দুর্গত ও অভাজনদের পাশে দাঁড়িয়ে শ্রীশ্রীকৈবল্যধাম (যাদবপুর), বিনীতভাবে উৎসর্গীকৃত থেকেছে সমাজ-হিতসাধনের কাজে এবং সঠিকভাবেই পালন করে চলেছে শ্রীশ্রীঠাকুরের নির্দেশাবলী।
মানুষের, বিশেষ করে নিঃসম্বল আর্ত-পীড়িত মানুষদের সাহায্য করা সমাজ সেবার মূল কথা। দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করে সেই লক্ষ্য পূরণের পথেই যাত্রা শুরু করেছিল যাদবপুরের শ্রীশ্রীকৈবল্যধাম। শ্রীশ্রীধামের চতুর্থ মোহান্ত মহারাজ শ্রীমৎ ভবতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় মহোদয়ের কর্মদ্যোগেই সেই দাতব্য চিকিৎসালয়ের সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন হয়।
সমাজের আর্থিকভাবে দূর্বল ও আর্ত মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা এবং যথাসম্ভব ঔষধ দেওয়া হয়। এমনকি, ব্যয়বহুল অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রেও আর্থিক বোঝার আংশিক দায়িত্ব গ্রহণ এবং যথাসম্ভব তাদের সাহায্য করে শ্রীশ্রীকৈবল্যধাম। বর্তমানে সমাজের দরিদ্র ও সার্বিক জনসাধারণের জন্য অ্যালোপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথি দুরকম চিকিৎসা ব্যবস্থারই সুবিধা আছে। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার বিভিন্ন বিভাগ হল :চোখ, হৃদ্রোগ, স্ত্রীরোগ, ই.এন.টি, সাধারণ ব্যাধি, শিশুরোগ ইত্যাদি। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা'র ব্যবস্থাও আছে।
শ্রীশ্রীঠাকুর শ্রীদেহে থাকাকালীন ভক্তদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত শারীরিক / দৈহিক সমস্যা সমাধানে নিদান দিয়ে যে সকল ভেষজ ঔষধ ব্যবহারের নির্দেশ দিতেন তার মধ্যে কয়েকটি শ্রীশ্রীধামে পাওয়া যায়।যেমন বাতারী, ধন্বন্তরী, শঙ্করী, ক্ষতারী, মাজন ও সাঁচীতৈল।
শ্রীশ্রীকৈবল্যধাম দীনদুঃখী, অনাথ মানুষদের মধ্যে বস্ত্র, কম্বল ইত্যাদি বিতরণ করে থাকে। শ্রীশ্রীধামের বার্ষিক উৎসবের সময় হাসপাতালে থাকা অসুস্থ, বিশেষ করে মারণব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ফল, মিষ্টি প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
সাম্প্রতিক উত্তরাখন্ডের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে শ্রীশ্রীকৈবল্যধামের তরফে প্রধানমন্ত্রী ত্রান তহবিলে এবং ভারতসেবাশ্রম সংঘ মারফত আর্থিক সাহায্য এবং ধুতি কাপড় পাঠানো হয়েছে ঐ এলাকার দূর্গত মানুষের কষ্ট সামান্য হলেও লাঘব করতে।