শ্রীশ্রীরামঠাকুরের জীবদ্দশাতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তিনটি আশ্রম; তার মধ্যে "শ্রীশ্রীকৈবল্যধাম" নামে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পাহাড়তলিতে একটি ও ভারতবর্ষে কলিকাতার যাদবপুরে দ্বিতীয়টি এবং তৃতীয়টি "সত্যনারায়ন সেবামন্দির" নামে তাঁর পবিত্র জন্মভূমি বাংলাদেশের ডিঙ্গামানিক গ্রামে। বাংলাদেশের চৌমুহণীতে ঠাকুরের শ্রীদেহ সমাধিত হয় এবং পরবর্তীকালে সেখানে "সমাধিমন্দির" নামে আর একটি আশ্রম স্থাপিত হয়। এছাড়া কুমিল্লা, বাংলাদেশে আছে শ্রী শ্রী রাসস্থলী।
শ্রীশ্রীকৈবল্যধাম শ্রীশ্রীরামঠাকুর প্রতিষ্ঠিত সম্পূর্ণ বেসরকারি একটি ধর্মীয় সংস্থা এবং বর্তমানে এটি শ্রীশ্রীঠাকুরের আশ্রিত ভক্ত অনুরক্ত ও অনুসারী পরিবারের সদস্যবৃন্দের পারমার্থিক সম্পদ। ধামের মোহান্ত হলেন ধামের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক ও প্রশাসনিক প্রধান। বাংলাদেশের পাহাড়তলিস্থিত শ্রীশ্রীকৈবল্যনাথের মোহান্তই হবেন যাদবপুরের শ্রীশ্রীকৈবল্যধাম সহ অন্য যে সকল মন্দির ও আশ্রম বর্তমানে রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ বা অন্য যেকোনো দেশে এবং ভবিষ্যতে স্থাপিত হতে পারে এমন সমস্ত সকল মন্দির, বা আশ্রমের মোহান্ত।
শ্রীশ্রীকৈবল্যধামের সঠিক পরিচালনা ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য শ্রীশ্রীকৈবল্যনাথের মোহান্ত শ্রীশ্রীঠাকুরের আশ্রিতদের মধ্যে থেকে সদস্য নির্বাচন করে বিভিন্ন ধামের জন্য একটি করে কার্যনির্বাহ সমিতি গঠন করে দেন। এই কার্যনির্বাহ সমিতি মোহান্তের অনুমোদন সাপেক্ষ। সদস্যদের মধ্যে থেকে একজন সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং অন্যান্য পদাধিকারী সদস্য নির্বাচন করেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে সমিতি যে-সব সুপারিশ ও কর্মপন্থা অনুসরণ করবে-সে-সবের নির্দেশ মোহান্তই দিয়ে যান।